রোববার (২৭ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটিরায় ‘শিক্ষা বাজেট ২০১৮-১৯ প্রস্তাবনা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো দরকার এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ প্রস্তাবে আমরা একমত। কিন্তু কতোটা বাড়ানো উচিত, কতোটা বাড়ানো সম্ভব সেটা আমাদের বিবেচনায় থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ বাড়িয়ে সে বাজেটের টাকা কোন কোন জায়গায় বিশেষভাবে ব্যয় করা দরকার।
বাজেট বিশ্বব্যাংকের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক্রমেই সরকার একটির পর একটি কাজ করে যাচ্ছে। আমি এই ব্যাপারটাকে অনুচিত মনে করি। আমাদের রাষ্ট্র, জাতি, জনগণের প্রয়োজনে পঞ্চবার্ষিক বাজেট, ১০ বছর মেয়াদী বাজেট- এগুলো আমাদের সরকারের সার্বিক বিবেচনা অনুযায়ী করা উচিত। তবে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন আছে, নিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সহয়তার দরকার। তবে সে সহায়তা যদি নির্ভরশীলতার পর্যাযে চলে যায় তবেই বিপদ।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আমরা যদি একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই তবে শিক্ষা হতে পারে আমাদের সবচেয়ে বড় সমীকরণ। সেজন্য মনে করি শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই জাতীয় আয়ের ন্যূনতম ৬ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ থাকা উচিত। এটি না করতে পারলে, যদি আমরা একটি শিক্ষিত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে না পারি তবে একুশ শতকের যে বিশ্ব বাস্তবতা সেখনে কিন্তু আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়বো।
‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস’ এর আহ্বায়ক ফারুখ আহমাদ আরিফ আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলে শিক্ষাখাতে ৯০ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসকেবি/এএ