রুয়েট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ মে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগকে রুয়েটের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয় সরকার। গত ২৮ মে তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়।
রুয়েটে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১২ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ নিয়োগ দিবে তাও বলা যাচ্ছে না। এতে করে রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে ব্যাঘাতসহ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সংশয়ে দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভেতর ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দল ও বহিরাগতদের নৈরাজ্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকমাসে রুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার ও টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলেও আংশঙ্কা করছেন রুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক।
ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই তারা যোগ্য কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
রুয়েট রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য না থাকায় ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিভিন্ন কাজে আর্থিক অনুমোদন ও নানা ধরনের আবেদন পত্রে স্বাক্ষরসহ প্রশাসনিক কাজগুলো উপাচার্য ছাড়া কেউ করতে পারেন না। ফলে উপাচার্য না থাকায় এসব কাজ সম্পন্ন না হওয়া এক ধরনের স্থবিরতার মধ্যে রয়েছে প্রশাসিক কার্যক্রম।
রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের জন্য উপাচার্যের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এখনতো উপাচার্য নেই, তাই সে কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কাজ আংশিক করার পর উপাচার্যের অনুমোদনে জন্য আটকে আছে। সরকারকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
জিপি/