ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৮
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হচ্চে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার (০১ জুলাই) ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা” প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
 
ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় মনোরম সাজে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও হল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা, উদ্বোধনী সংগীত, শোভাযাত্রা, গবেষণা ও আবিষ্কার বিষয়ক এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শনী প্রভৃতি।
 
সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন চত্বরে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এর আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহ প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মলে জমায়েত হন। অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি।  ছবি: বাংলানিউজএসময় অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাঙালি মধ্যবিত্তের বিকাশ, জ্ঞান চর্চা তথা এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনেক স্বনামধন্য গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও মনীষীর।
 
শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
 
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নতুন একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনী, কার্জন হলে বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও গবেষণা প্রদর্শনী, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বাংলা বিভাগের উদ্যোগে নাট-মণ্ডলে ‘হরপ্রসাদ-শহীদুল্লাহ স্মারক বক্তৃতা’, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই, ২০১৮
এসকেবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।