সর্বশেষ ২০১৪ সালে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে পিছিয়ে থাকা খাগড়াছড়িতে পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০১৫ সালে এসে সে হিসেব দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ২৮ শতাংশে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৭ হাজার ৪৪৩ জন। এরমধ্যে ৩ হাজার ৯৭০ জন ছেলে ও ৩ হাজার ৪৭৩ জন মেয়ে। পাস করেছে ২ হাজার ৬৮৬ জন। পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার অনুপস্থিত ছিল ৮৭ জন। জিপিএ-৫ এসেছে ৮টি। এরমধ্যে ৬টি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং দু’টি মানবিক বিভাগ থেকে।
তিনটি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৯৯৪ জন। পাস করেছে ৪৫৮ জন। এরমধ্যে ২৫৪ জন ছেলে এবং ২০৪ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে ৬টি।
মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৪৬৩ জন। পাস করেছে ১ হাজার ৩২৬ জন। এরমধ্যে ৫০৮ জন ছেলে এবং ৮০৮ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ৬০ জন। পাসের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে দু’টি।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৮৬ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ১৬২ জন ছেলে এবং ৮২৪ জন মেয়ে। পাস করেছে ৯০২ জন। এরমধ্যে ৪৬৭ জন ছেলে এবং ৪৩৫ জন মেয়ে। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এবার প্রতিবেশী পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবানের ফলাফল খাগড়াছড়ির চেয়ে ভালো। এবার রাঙামাটিতে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বান্দরবানে পাসের হার ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ দু’টি জেলায় পাসের হার বাড়লেও এবার খাগড়াছড়িতে কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এডি/আরবি/