সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কথাগুলো বলছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছিল।
এ বিষয়ে মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
দুপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মিছিল নিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রামপুরা টিভি গেট এলাকা অবরোধ করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।
পরে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ছাত্ররা মিছিল করলে বহিরাগতরা ইট নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্ররাও ইট নিক্ষেপ করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেওয়াদের শান্ত করে। বহিরাগতদের হামলায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটসহ ভেতরের গ্লাস ভেঙে যায়।
সৈকত নামে আহত এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। হঠাৎ কয়েকশ ব্যক্তি এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বাড্ডা জোনের এডিসি আহম্মেদ হুমায়ন বাংলানিউজকে বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে বহিরাগতদের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়েছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। ছাত্ররা বের হয়ে গেছে। বহিরাগতরাও চলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৮
ইএআর/এএ