একই বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক থাকায় দাপ্তরিক কাজসহ অন্যান্য কাজেও দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন— ‘অল্পদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা হবে’।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- উপজেলার বোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাশেম মিয়া পদোন্নতি পেয়ে গত ৩ জুন উপজেলার ছোটদিঘীর পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় হাশেম মিয়া যোগ দিতে পারেননি। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের আদেশে গত ১৬ জুলাই তিনি উপজেলার বাইটকা নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
এদিকে ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নন-ক্যাডার হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিজি) চিঠি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাহার নামে আরেক শিক্ষককে একই বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। তিনিও গত ২২ জুলাই বাইটকা নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। একই বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ায় জটিলতা এড়াতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের পরামর্শে হাবিবুল্লাহ বাহারকে আপাতত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের কোনো কাজ না করে অলস সময় পার করছেন বলেও সূত্র জানায়।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বাংলানিউজকে জানান, ‘বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অবশেষে নন-ক্যাডার হিসেবে কোনমতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরও উপজেলা প্রাথমিক কার্যালয়ে আপাতত অলস বসে আছি। শুনেছি নতুন কোনো বিদ্যালয়ে যোগদানের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাকে এখানে করণিকের কাজ করতে হবে। অবশেষে বিসিএস দিয়ে করণিকের চাকরি করছি। ’
ওই বিদ্যালয়ের অপর প্রধান শিক্ষক হাশেম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ‘ওই শিক্ষকের আগে যোগ দেওয়ায় আমিই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। ’
সখীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার বাইটকা নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৬ জুলাইয়ের আগে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। ফলে ডিজিতে পাঠানো তালিকায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য দেখানো হয়।
ডিজি ওই বিদ্যালয়ের শূন্য পদ পূরণে হাবিবুল্লাহ বাহারকে ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু এরমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে পদোন্নতি পাওয়া প্রধান শিক্ষক হাশেম মিয়াকে যোগদান করতে বলায় এ সাময়িক সংকট দেখা দেয়। অল্পদিনের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
জিপি