গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিটকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে এ নোটিশ পাঠান।
এতে বিবাদীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের প্রতি আমাদের সব সময় শ্রদ্ধা রয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। তবে এ নির্বাচনের জন্য কিছু বাস্তবতা রয়েছে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করব। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে।
ডাকসু নিয়ে হাইকোর্টের রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিস ৪ এপ্রিল রিসিভ করে। সে অনুযায়ী অক্টোবরের ১০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে ২০১৯ সালের মার্চে নির্বাচন করার প্রস্তাব করা হয়। আর ভোটার তালিকা ও নির্বাচনের নমুনা ফরম তৈরির জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।
নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি ভাবছি।
ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ায় একই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
এরপর ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিবাদী ছিলেন শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর। ওই রুল শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরবর্তী তিন মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেয়া হয়।
ডাকসু বিধান অনুযায়ী, প্রতি বছর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা হচ্ছে না। প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ