রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নব গঠিত এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর অভিষেক অনুষ্ঠানের তারা এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহাবুবুর রহমানসহ শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। অনেক ভুল-ত্রুটি সাংবাদিকরা আমাদের সামনে তুলে ধরেন। শিক্ষা সাংবাদিকরা শিক্ষা পরিবারের সদস্য। সাংবাদিকরা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন।
নাহিদ বলেন, বিরুদ্ধে যায় এমন সংবাদ ছাপলেও আমরা অখুশি হই না। বরং এ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানবার পথ তৈরি করে দেয়। গঠনমূলক সমালোচনা হলে ভুলটাকে সংশোধন করা যায়। আমি ১০ বছর মন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনেক সমালোচনা করা হয়েছে। প্রশংসাও করা হয়েছে। অনেক বেশি করে আমাকে তুলে ধরা হয়েছে। কোনো সমালোচনার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ দেইনি। আমি শুধু একটি বক্তব্যের ব্যাখ্যা পিআরও’র মাধ্যমে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে লেখা হলে, ঘটনা সত্য না হলেও আমি সর্তক হই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ে কোনো না কোনো ডিসি-এসপির খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে বলি। জেনে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় ইউএনও এবং ওসিকেও ফোন করি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের বিদ্যালয় মনিটরিং করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কোন বিদ্যালয়ের কী চিত্র তা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি। আমরা যে কাজ করছি আপনারা তা জাতির সামনে তুলে ধরেন। আমরা ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। আপনারা বস্তুনিষ্ট সংবাদ তুলে ধরবেন। যা দেখে আমাদের কাজ করতে পারি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার চেয়ে কোনো খাত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা সাংবাদিকরা কাজ করে চলছেন। সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করেন। তবে এটাও সত্য- সত্য কেউ শুনতে চায় না। অনুরোধ থাকবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হয়ে কাজ না করার।
নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে আবদুল মান্নান আরও বলেন, যে দেশে মিডিয়া স্বাধীন সে দেশে কখনও কোনো অবস্থায় দুর্ভিক্ষ হবে না। একটি দেশের কোথায় কোথায় খাদ্য ঘাটতি আছে। ঘাটতি ঠেকাতে কি কি করতে হবে সাংবাদিকরা তা খুঁজে বের করেন।
ইরাব সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নিজামুল হক ও মুসতাক আহমদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। প্রধান অতিথির ও বিশেষ অতিথি ইরাবের নব নির্বাচিত নেতাদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস