খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাবির শিক্ষা-গবেষণা ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পে ১ হাজার ছাত্রের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ১৫ তলাবিশিষ্ট ‘জয়বাংলা’ হল নির্মাণের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছ থেকে অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রনয়ণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এস.এম বাহালুল মজনুন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে আগামী প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য এ নামটি প্রস্তাব করলে সেটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
হল নির্মাণের সিদ্ধান্তকে কিভাবে দেখছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্য সেন হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে আবাসন সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আর নামকরণটি যথার্থ হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বড় হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জীবন কুমার মিশ্র বাংলানিউজকে বলেন, শতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে। সেখানে একটি ছাত্র হল ও ছাত্রী হল অন্তর্ভুক্ত আছে। ছাত্র হলের নামকরণের বিষয়ে সিনেটে একটি সিদ্ধান্ত আছে। সেকারণে এটির নাম হবে জয়বাংলা হল। অন্যদিকে ছাত্রী হলের নাম এখনও ঠিক হয়নি। পরিকল্পনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হয়ে একনেকে যাবে। সেখানে অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল একেএম আফজালুল হক বাংলানিউজকে বলেন, জয় বাংলা হল নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৪টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৫৪টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও তিনটি হোস্টেল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪শ’৯৬ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ১ হাজার ৯শ’৯৯ জন। ৬শ’ একর জমি নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বর্তমানে এর জমির পরিমাণ ২৭৫ দশমিক শূন্য ৮৩ একর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসকেবি/আরআর