শনিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫১তম সমাবর্তনে তিনি এ কথা জানান।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় মনোরম সাজে। বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। কালো গাউন পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করে। দিনভর ছবি তোলা, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, হৈ চৈ ও কোলাহলে মেতে থাকে সবাই।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতিশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১ জনকে পিএইচডি এবং ২৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ইতিহাসে সর্বাধিক ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েটকে অনুষ্ঠানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা অনুষদভুক্ত বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ডিগ্রিপ্রাপ্ত গ্র্যাজুয়েটদের নাম উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান সমাবর্তন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এদিকে সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি ও শৃঙ্খলা পরিষদের সমন্বয়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড সোসাইটি ও ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার উদ্যোগে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ