ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়তে ৯ দফার পরিপত্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়তে ৯ দফার পরিপত্র

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন শৈলী বাড়াতে নয়টি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষা কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে সোমবার (১৭ অক্টোবর) পরিপত্র জারি করা হয়েছে।  

পরিপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা সময়ের দাবি।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসজিডি) বাস্তবায়নের জন্য সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা, গৃহীত কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা অপরিহার্য; এজন্য প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সইয়ে জারি করা পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে যথাযথভাবে পড়তে, বলতে ও লিখতে পারে না অথচ তারা উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শ্রেণীতে ভর্তি হয়, ভাষাজ্ঞান অপরিণতই থেকে যায়।

শিশুদের ভাষা শিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পঠন ও লিখন শৈলী নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।  

সেগুলো হলো- ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পাঠাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে একটি প্যারা বা পৃষ্ঠা পঠনের জন্য বাড়ির কাজ দিতে হবে।  

প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা বাড়ি থেকে লিখে আনার জন্য বাড়ির কাজ দিতে হবে।  

ক্লাসে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট শ্রেণী শিক্ষক শিশুদের আবশ্যিকভাবে পঠন করাবেন।  

শিক্ষকরা নিজেরা শিশুদের সঙ্গে উচ্চারণ করে পাঠদান করবেন, এতে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ জড়তা দূর হবে এবং প্রমিত উচ্চারণ শৈলীর সৃষ্টি হবে।  

শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চারণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মনোবল বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

বুক কর্ণারের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  

প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম একটি বাংলা ও ইংরেজি শব্দ পড়া, বলা ও লেখা শেখাতে হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভাষার ভাণ্ডার বাড়বে এবং এতে শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করবেন।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদনে শিক্ষকদের বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শিশুদের পাঠ্যাভাস সংক্রান্ত এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করবেন।

পরিপত্রটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও); জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছেও পরিপত্রটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।