পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে শ্লোগান দিতে থাকে।
এসময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে প্রক্টর ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের গেটে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে দুপুর ১টার দিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ওপর টাকার বোঝা চাপিয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার পায়তারা করছে। এক বছরের ব্যবধানে ভর্তি ফিসহ সব ফি তিন গুন বাড়িয়ে দেওয়ায় মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালানো অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয় ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ আন্দোলনটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না। এক বছর পরে হঠাৎ কেনো এ আন্দোলনের উদয় হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ’
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেশন চার্জ, হল চার্জ, সেমিস্টার পরীক্ষায় ফি বৃদ্ধি এবং পরিবহন খাতে তিন গুন ফি বৃদ্ধিসহ নামে-বেনামে খাতের প্রতিবাদে গত ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
জিপি