‘শিক্ষা, আলো, স্বপ্ন মনে; এসো মিলি তরীর টানে’ স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে তরীর স্বেচ্ছাসেবীরা।
ওই সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর ‘একুশ’র পাদদেশে আনন্দ র্যালির উদ্বোধন করবেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
এর আগে সকালে তরীর দশকপূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণকারী ও তরীর শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ করবেন অতিথিরা।
ওইদিন দিনব্যাপী নানা আয়োজনের প্রথম পর্বে থাকবে শিশুদের খেলাধুলা, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবীদের মোরগ লড়াই ও বালিশ বদল খেলা। এছাড়া প্রদর্শিত জহির রায়হান অডিটরিয়ামের সেমিনার কক্ষে তরীকে নিয়ে তৈরি বিশেষ ডকুমেন্টারি।
দুপুরের খাবারের পর দ্বিতীয় পর্বে থাকবে অডিটরিয়ামের সেমিনার কক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। এতে শিশুদের বিভিন্ন পারফর্ম ছাড়াও থাকবে তরী নিয়ে নাটিকা, সম্মাননা প্রদান, সাবেকদের বক্তব্য ও স্মৃতিচারণ, অতিথিদের বক্তব্য এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থাকবেন উপ উপাটার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, জাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মোজাম্মদ মঞ্জুরুল হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপ-উপাচার্য ও তরীর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম আবুল কাশেম মজুমদার, সাভারের সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি অ্যান টেইলর।
এতে সভাপতিত্ব করবেন তরীর প্রধান উপদেষ্টা জাবির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন বশির আহমেদ।
এদিকে দশকপূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে তরী প্রকাশ করেছে বণার্ঢ্য সুভ্যেনির ‘নাবিক’। তরীর এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলানিউজ ও রেডিও ক্যাপিটাল। টেলিভিশন পার্টনার থাকছে চ্যানেল ২৪।
‘আলোর পথে আমরা’ স্লোগানে ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল জাবি ক্যাম্পাসে পথচলা শুরু হয় তরীর। ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাক মানবপ্রেমিক তরুণ-তরুণীর হাতে গড়ে ওঠে সংগঠনটি।
সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল, পথশিশুদের পাঠদানের মাধ্যমে শুরু হলেও বর্তমানে তরী শিশুদের খাতা-কলম, ব্যাগ, স্কুলের পোশাক, শীতের পোশাক ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএ/