২৫-২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বা প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন সেভাবে ফল প্রকাশের অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
গত বছর একই দিন দুই সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর বা প্রধানমন্ত্রী যে দিন সময় দেবেন সেভাবে অনুরোধ করে গত সোমবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন। আর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৪ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯ জন।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ নভেম্বর। সারাদেশে এবার ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশে নেয়। আট বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ