উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তৃতীয় শ্রেণির নির্ধারিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ের প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, ‘যানাহন’, ‘বঙ্ঘবন্ধুর’, ‘মহসাগর’, ‘স্বীধীনতার’ ও ‘১৬ই ডসেম্বর’ লেখা হয়েছে, যে শব্দগুলোর সঠিক বানান হবে ‘যানবাহন’, ‘বঙ্গবন্ধুর’, ‘মহাসাগর’, ‘স্বাধীনতার’ ও ‘১৬ই ডিসেম্বর’।
এমন ভুল বানানে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। বরাবরের মতো পরীক্ষার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) ছিল তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই এমন ভুল দেখতে পায়। তাছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ এবং ‘হিন্দু ও নৈতিক শিক্ষা’র প্রশ্নপত্রে মানবণ্টনেও ভুল দেখা গেছে। প্রথমাংশে ৫০ নম্বরের পাশাপাশি দ্বিতীয়াংশেও ৫০ নম্বর উল্লেখ করার কথা থাকলেও এতে দেখা গেছে ২৫ নম্বর।
প্রশ্নপত্রে এমন ভুল দেখে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শব্দের বানান ভুলসহ প্রশ্নপত্রে ভুলগুলোর বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আমরা জরুরি সভা করেছি। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।
তার দাবি, মূল প্রশ্নে কোনো ভুল ছিল না, ছাপাখানায় এ ভুল হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএস/এইচএ/