ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিসির বক্তব্য প্রত্যাখান করে কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
ভিসির বক্তব্য প্রত্যাখান করে কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বরির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দুঃখ প্রকাশ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্য ও আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তার বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।

এজন্য ভিসি’র পদত্যাগই একমাত্র দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর কলাবাগানে লিয়াজু অফিসে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

সভা পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার)মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ববির ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমার দেওয়া বক্তব্যের একটি বাক্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে’।

'আমি এ বিষয়ে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকার সম্বোধন করিনি। বরং যারা দিবসটি উদযাপনের অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চায় তাদের এমন কার্যক্রমকে রাজাকার সাদৃশ্য মর্মে মন্তব্য করেছি। তবে এ শব্দটি আমি কোনোভাবেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলিনি'। এরপরেও যদি আমার বক্তব্যে কোনো শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তবে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি'।

এদিকে উপাচার্য লিখিতভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য দিলেও তা প্রত্যাহার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বরঞ্চ তাদের এক দফা এক দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ। এ দাবিতে প্রতিদিনের মতো শনিবার (৩০ মার্চ) আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম, সিফাত আহমেদ ও লোকমান হোসেনসহ আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেছেন, উপাচার্য শুক্রবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার মিথ্যাচার। কেননা তিনি শিক্ষার্থীদের 'রাজাকার' বলে গালি দেননি বলে দাবি করেছেন। তিনি যে গালি দিয়েছেন সেটা একেবারেই সত্যি এবং এর অনেক প্রমাণও রয়েছে। তাছাড়া তিনি যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন তাতেও শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করেছেন, যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে রাজাকার বলেছেন। আন্দোলন তো শিক্ষার্থীরাই করেছেন। বাইরে থেকে এসে কেউ আন্দোলন করেননি। সুতরাং আমরা ভিসি’র ওই মিথ্যাচার করে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছি।

এর পাশাপাশি ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে শনিবার বিকেল ৪টা থেকে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচিতে থাকছে, ‘বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ববি ভিসি’র অপসারণের দাবিতে ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক’ অনুষ্ঠান, এ অনুষ্ঠানে রণসংগীত, ব্যাঙ্গ নাটিকা, কবিতা ও প্রতিবাদী গান’।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।