ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা বাজেটের মানসম্মত ব্যয় দরকার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
শিক্ষা বাজেটের মানসম্মত ব্যয় দরকার আলোচনা-সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): শিক্ষা বাজেটের মানসম্মত ব্যয় দরকার। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে তা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি-না বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (কারাস) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘আওয়ামী শাসন আমলে শিক্ষাখাতে বাজেটের গতি-প্রকৃতিঃ প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার ফারাক’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়ের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃঃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী। আলোচনা সভার গবেষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় শিক্ষা গবেষণা সেলের সদস্য সাদনান সাকিব।
 
মনোয়ার মোস্তফা বলেন, শিক্ষাখাতে বাজেট সর্বোচ্চ হয় না। রয়েল এডুকেশনে মাপতে গেলে তা আরও কমে যাবে। শিক্ষাবাজেটের কোয়ালিটি এক্সপেন্ডিচার (মানসম্মত ব্যয়) গুরুত্বপূর্ণ।

সাদনান সাকিব বলেন, টাকার অঙ্কে শিক্ষার বাজেট বাড়ছে কিন্তু শতকরা হিসেবে বাড়ছে না। এসময় তিনি সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

সেগুলো হলো-আসন্ন বাজেটে সমতা ও নায্যতা সৃষ্টির ভিত্তিতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক করপোরেট/ বাণিজ্যিক/ ব্যাংক/ বিমা/ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আয়/লভ্যাংশের ওপর শিক্ষা খাতের জন্য সারচার্য আরোপ করা; শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয়ের খাতগুলো আরও বিস্তারিত, সুস্পষ্ট ও সুবিন্যস্ত করা; শিক্ষার মান-উন্নয়ন তথা মৌলিক দর্শন বিনির্মাণে প্রণোদনা, গবেষণা সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণ ও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিশ্চিত করা; প্রতিশ্রুত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে দেওয়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করা; জিডিপি এবং মোট বাজেটের নির্ধারিত লক্ষমাত্র পূরণে বাস্তব ও ভিশনারি পদক্ষেপ নেওয়া, মানব সম্পদ হিসেবে বিপুল শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর যে স্ফিতি তা নিয়ন্ত্রণের ভাবনা-ভাবার পাশাপাশি চাহিদা ও যোগানের সমন্বয়ের রুপরেখা তৈরি করা ও শিক্ষার মৌলভিত্তি, কাঠামো, মৌলিক দর্শন কি হবে এবং উচ্চশিক্ষা, মাধ্যমিক, প্রাথমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা কিভাবে পরিচালিত হবে সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, নাগরিক এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে বিশেষায়িত টাস্কফোর্স/কমিশন গঠন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।