ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুলনা জিলা স্কুলের ৯৯ ব্যাচের মিলনমেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৯
খুলনা জিলা স্কুলের ৯৯ ব্যাচের মিলনমেলা র‌্যালি, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়...’। যতোই সময়ের চাকা দ্রুত ঘুরুক, স্মৃতিগুলো সব অবগুণ্ঠনে বুকের অতল গভীরে থেকে যায়, নাড়া দিলেই যেন ভোরের শিউলির মতো ঝরে পড়ে।

স্মৃতিগুলোকে গুণ্ঠনমুক্ত করতে, প্রাণবন্ত সেই সোনালি দিনগুলোকে ফিরে পাওয়া, ফিরে দেখার প্রত্যাশায় ঐতিহ্যবাহী খুলনা জিলা স্কুলের এসএসসি ১৯৯৯ সালের ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক মিলনমেলার আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সেই পুরনো দিনেরই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন সবাই।

মিলনমেলার অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাসকাল ৮টার আগেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ। স্মৃতি হাতড়াতে তারা ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। বিদেশ থেকেও ছুটে এসেছেন অনেকে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রেজওয়ান ওয়ালিদ অন্তু, নাজমুল হোসেন সুমন, তন্ময় বিশ্বাস ইকো, জানে আলম শামস্ রাজু, কাজী সার্জিল হাসান, মনজুরুল ইসলাম বিভাস, কাজী মাসুদুল আলম, খালিদ হোসেন রাজন, প্রশান্ত সাহা, রেজা প্রমুখ।

বিদ্যালয়ের ৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রেজওয়ান ওয়ালিদ অন্তু বলেন,  ২০ বছর পর খুলনা জিলা স্কুলের ১৯০০/উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ব্যাচ, বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন এক ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে। ব্যাচের সদস্যরা সমগ্র পৃথিবীব্যাপী অনেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। মিলনমেলার অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাতিনি জানান, অনুষ্ঠানের ৫% খরচ পিছিয়ে পড়া বন্ধুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।

জাঁকালো এ আয়োজনে উদ্বোধন করেন জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।

উদ্বোধনের আগে ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম বয়সে মৃত্যু বরণ করা টেস্ট ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানাসহ প্রয়াত সহপাঠীদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

মিলনমেলার অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে- উপহার থলে প্রদান, র‌্যালি, শরীরচর্চা, শ্রেণীকক্ষে পাঠদান, টিফিন, বিদ্যালয় পলায়ন, খেলাধুলা, নামাজের বিরতি, প্রমোদতরীতে ওঠা, প্রমোদতরী যাত্রা, দুপুরের খাবার, পানি বিরতি, ওয়াই সি রিসোর্ট প্রবেশ, ওয়াই সি রিসোর্ট হতে প্রস্থান ও প্রমোদতরীতে ওঠা, জলসা, বার-বি-কিউ, প্রমোদতরী হতে প্রস্থান।

অনুষ্ঠানে শৈশবের স্মৃতিচারণা করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ে যখন ছিলাম তখন বুঝিনি আসলে এটি কত প্রিয় জায়গা। এখন প্রতিমুহূর্তে বিদ্যালয়ের স্মৃতিগুলো মিস করি। বন্ধুদের সান্নিধ্যও খুব মনে পড়ে। আজ ব্যাচের সবাই মিলিত হতে পেরে মনে হচ্ছে যেন শৈশবে ফিরে গেছি।

প্রাক্তনদের আবেগ যেন একটু বেশিই ছিল। খুনসুটিতেও কেউ কাউকে ছেড়ে দেননি। তাদের আবেগ-স্মৃতিচারণ-আড্ডা ছুঁয়ে যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আর গানের সেই কলি ‘প্রাণ জুড়াবে তাই’ এর মতোই দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু, সতীর্থ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পেয়ে প্রাণ জুড়িয়েই শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।