ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি সংবাদ সম্মেলন, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা বোর্ডের বর্ধিত চাঁদা কর্তন প্রত্যাহারসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক বলেন, বাকবিশিস এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের চাকরির ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।

সেই ধারানুযায়ী আসন্ন বাজেটকে কেন্দ্র করে যৌক্তিক দাবিমালা উপস্থাপন করছে বাকবিশিস।

বাজেট অধিবেশনকে সামনে রেখে এ সময় ১৭টি দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। দাবিগুলোর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বাের্ডের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা কর্তন অবিলম্বে প্রত্যাহার, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও মেধানুসারে পদোন্নতি প্রদান এবং অনুপাত প্রথা বাতিল করা, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের জন্য নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও দেওয়া, কলেজ শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করা, শিক্ষানীতি-২০১০ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ ভিজিটাইলেজেশন করা উল্লেখযোগ্য।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুর রশীদ বলেন, বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন কলেজে সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। আর এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ অশোক তরু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।