ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিকে নান্দনিক করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলছে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
ঢাবিকে নান্দনিক করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ দিচ্ছেন ভিসি আখতারুজ্জামান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও নান্দনিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাস্টারপ্ল্যান’ তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

বুধবার (২৬ জুন) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে তিনি একথা জানান।  

অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনসহ সিনেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ছাত্র প্রতিনিধিরা যোগ দেওয়ায় সিনেট পূর্ণাঙ্গ হলো।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সুশাসন ও সুনীতিচর্চার মূলকেন্দ্র। আর্থিকখাতসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো স্তরে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা বা দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষা ও শুধু সনদ দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য নয়। মেধা বিকাশ, মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। এ লক্ষ্য অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, প্রকৃত তথ্য না জেনে অনেকে এ বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করেন, যা হতাশাজনক।  

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা কিউএস-এর সম্প্রতি প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এশিয়ায় ১২৭তম এবং বিশ্বে ৮০১তম স্থানে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার মান সন্তোষজনক হলেও র‌্যাংকিংকারী সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত না থাকায় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে আমাদের সেভাবে জায়গা হচ্ছে না।
 
বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে সন্তোষজনক অবস্থান দখল করতে ৩০ জুনের মধ্যে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য ওয়েবসাইটে সন্নিবেশ করার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

এবারের সিনেট অধিবেশনে আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে, উপাচার্যের অভিভাষণ, কোষাধ্যক্ষের বাজেট উপস্থাপন, পূর্ববর্তী অধিবেশনের কার্য-বিবরণী অনুমোদন, ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক বিবরণী বিবেচনা, জগন্নাথ হল ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মনোনয়ন ও ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য ছয়জনের একটি প্যানেল অনুমোদন। কয়েকজন সিনেট সদস্যের বক্তব্যের পর  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিনেট অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।

অপরদিকে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর পাঁচ ছাত্র প্রতিনিধিসহ বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও সিনেটের বাইরে বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টায় সিনেট অধিবেশন শুরুর আগ থেকেই ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে।

 মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, আবাসন সংকট নিরসনে বরাদ্দ বাড়ানো, লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা, গেস্টরুম সংকটের সমাধান, সব উন্নয়ন ফি বাতিল করা, সব রুটে রাত ৮টা পর্যন্ত বাস চালু রাখা, ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।  

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা সমাধানে সিনেটের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।