ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নানা আয়োজনে রাবির ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৯
নানা আয়োজনে রাবির ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ৬৬ বছর পার করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বাংলানিউজ

রাবি: গৌরব-ঐতিহ্যের ৬৬ বছর পার করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ‘শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারা আজও আমাদের সাথী, অবিরাম এই চলার ছন্দে আমরা আলোর জ্ঞাতি’ এ  স্লোগানকে সামনে রেখে নানা অয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (০৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন, এবং পায়রা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান।

পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, প্রতিটি জন্মদিন আনন্দের। হোক সেটা মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরবের ৬৬ বছর পার করেছে। আমরা আজ আনন্দিত। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এ অঞ্চলের মানুষের ভেতরে জ্ঞানের আলো বিতরণের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দরকার ছিল। তারা সেই কাজটি করেছেন। ভবিষৎ প্রজন্ম এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে, শিক্ষিত হবে, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে। এটি আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার প্রমুখ।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে আন্তঃকলেজ চ্যাম্পিয়ন ও বিভাগ চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন।
 
১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ড. ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে নয়নাভিরাম মতিহারের এ সবুজ চত্বরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। রাজশাহী শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এ ক্যাম্পাসটি ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমিতে স্থাপিত।
 
শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ রয়েছে। তাছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ৬টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৩০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৫ হাজার ৫৭৯ জন ও ছাত্রী ১২ হাজার ৫৫১ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।