ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ

গণভবন থেকে: এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এরমধ্যে পাস করেছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ফেল করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন।

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৭.৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯৪, দিনাজপুর বোর্ডে ৭১.৭৮, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৯, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ৭৬.৩৮, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭২৯ জন।

শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯০৯টি এবং একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান ৪১টি।  

মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন।

কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।

দুপুর ১টা থেকে শিক্ষার্থীরা মোবাইল, ইন্টারনেট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক।  

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশার জানান, দুপুর ১টায় নিজ নিজ কেন্দ্র/প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।  

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) এবং (www.educationboard.gov.bd) এর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।  

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্টশিটের সফট কপি পাওয়া যাবে। বোর্ড থেকে ফলের হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না।  

পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবেন।

গত ১ এপ্রিল থেকে এএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় মে’র মাঝামাঝি সময়ে। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন। এরমধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন। মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৮০টি।

**এইচএসসির ফল জানা যাবে যেভাবে

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯ 
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।