ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চশিক্ষায় গুচ্ছ ভর্তি: এবারই ইতিবাচক ফলের আশা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
উচ্চশিক্ষায় গুচ্ছ ভর্তি: এবারই ইতিবাচক ফলের আশা ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: আগামী বছর থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির আশা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এতে শিক্ষার্থীরা ছুটে বেড়ানো থেকে রেহাই পাবেন।

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

গুচ্ছ ভর্তি চালুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এ বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, তারা নিজেরা নিজেদের পরীক্ষাটি নিতে চান। মনে করে যে, আমার মতো করে আমাদের শিক্ষার্থী বেছে নেবো। আমাদের যে প্রস্তাবটি আছে, যেমন মেডিকেল কলেজে একটি মাত্র পরীক্ষা দিয়ে সারাদেশে মেধা নির্ধারণ করা হয়। ঠিক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও সেটি করা যায় কি-না। সেটি করা না গেলেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে করা যায় কি-না, আমরা সে চেষ্টায়ই আছি।

‘উপাচার্যদের একটি পরিষদ আছে। ইতোমধ্যে তারা এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। আশা করছি এ বছরের মধ্যে ইতিবাচক কোনো ফলাফল পাবো। আগামী বছর থেকে আমরা একেবারে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে না হলেও অধিকাংশ নিয়ে এই ব্যবস্থাটি চালু করতে পারবো বলে আশাবাদী।

এ বছর আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে বলে সম্মত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফরম বিক্রি ও পরীক্ষা ফি বাবদ আয় যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য গুচ্ছ পরীক্ষা না নিয়ে আলাদাভাবে নিয়ে তাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও মেডিকেল কলেজগুলো সারাদেশে একদিনে পরীক্ষা নিয়ে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

অভিযোগ রয়েছে, ৩৪ হাজার কোটি টাকার কোচিং বাণিজ্য এবং ফরম বিক্রি বাবদ বিশাল অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আয় করে। এ কারণে সরকার চাইলেও গুচ্ছ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারছে না।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কার লাভ-লোকসানের বিষয় আছে, সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াটি যেনো সহজ করা হয়। একজন শিক্ষার্থী পাঁচটি বা সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে, সারা বাংলাদেশ তাকে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কোথাও ছেলেরা রাতের বেলায় মসজিদে থেকে পরদিন পরীক্ষা দেয়। নারী শিক্ষার্থীদের কাছে সেটি প্রায় অসম্ভব। অনেক পিতা-মাতার আর্থিক সামর্থ্য নেই, তাদের ছেলে-মেয়েদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা দেওয়ানোর। তারা যে ভীষণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে আছেন। এটি তো নিশ্চয় কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আছেন, তারা নিশ্চয় এটি অনুধাবন করেন। আর অন্য যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো নিশ্চয় বড় বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। যেখানে শিক্ষার্থীদের জীবন, তাদের পিতা-মাতার সামর্থ্যের বিষয়- এসব কিছু যেখানে বড় হয়ে দেখা দেয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে বা একক পরীক্ষা হয়, সেখানেও কোচিংয়ের বিষয়টি থাকবেই। কারণ শিক্ষার্থীরা অধিকতর সহযোগিতা নেবেন। ভর্তি কোচিং নিয়ে কারও বিশেষ আপত্তি থাকার কথা নয়।

উচ্চশিক্ষায় আসন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সিট খালি থেকে যায়। হয়তো পছন্দের জায়গায় স্থান পান না শিক্ষার্থীরা। কারণ মেধার একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু সিট হয় না, এমন কোনো বিষয় না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।