ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচালবস্থা

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
বেরোবির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচালবস্থা

রংপুর: প্রশাসনিক ভবনে তালা, লাগাতার কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বিমুখী আন্দোলনে এবার উত্তাল হয়ে উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাস। ভিসি-রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কেউ ক্যাম্পাসে আসছেন না। সব মিলিয়ে একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা।

জানাগেছে, গত এক মাস ধরে তিনদফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনসহ বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।  

তাদের দাবিগুলো হলো- ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ, নীতিমালা প্রণয়ন ও সময়মতো পদোন্নতি।

 

এসব দাবিতে এক মাস ধরে আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি বাস্তবায়ন করছে না বলে জানিয়েছেন কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম।

পরিষদের আহ্বায়ক মাহাবুবার রহমান বাবু বাংলানিউজকে বলেন, গত ২১ জুলাই (রোববার) ভিসি স্যার আমাদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে নগরীর সার্কিট হাউসে আলোচনার জন্য বসেছিলেন। কিন্তু তিনি সঙ্গে করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে রাশেক রহমানকে নিয়ে এসেছেন। তাই আলোচনাটি ভেস্তে গেছে।  

অপরদিকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বুধবার (২৪ জুলাই) মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তারা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা কামনা করেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।  

মানববন্ধনে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পরিচালকের পদে থাকা বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী আপেল মাহমুদসহ বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মাসুম খান বাংলানিউজকে বলেন, ভিসি স্যার ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল তিনিও গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রশাসন ভবনে আসেন না। এক মাস ধরে ক্যাম্পাসেই (রংপুরে) আসেন না। ভিসি, রেজিস্ট্রার দুইজনই ঢাকায় থাকেন। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা কীভাবে আসবে।  

জানা গেছে, ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ গত দুই বছরে সাড়ে ৭শ দিনের মধ্যে সাড়ে ৫শ দিনই ঢাকায় থেকেছেন। সম্প্রতি তিনি ক্যাম্পাসেই আসছেন না। রংপুরে এলেও নগরীর সার্কিট হাউসে অবস্থান করে জরুরি কিছু ফাইল স্বাক্ষর করে চলে যান। তার অনুপস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছেই।  

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার সহকারী আবুল কালাম জানান, স্যার (ভিসি) ঢাকায় অফিস করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।