ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মধ্যরাতে আন্দোলনে জাবি ছাত্রীরা

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
মধ্যরাতে আন্দোলনে জাবি ছাত্রীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: হলের আসন সমস্যা সমাধানের দাবিতে মধ্যরাতে দফায় দফায় আন্দোলনে নেমেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা।

সোমবার (৩০ জুলাই) রাতে হলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছাত্রীদের আন্দোলন চলছে।

এরআগে, রাত ৯টার দিকে হলের আসন ও ক্যান্টিন সমস্যা সমাধানসহ হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে হলের সামনে অবস্থান নেয় হলের সব ব্যাচের ছাত্রীরা। এসময় তারা সাতদফা দাবি জানায়।  

দাবিগুলো হলো- হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, শিক্ষার্থীদের হলের কোনো সিট বাতিল করা যাবে না এবং রুমে অতিরিক্ত সিট দেওয়া যাবে না, কোনো তলায় কিচেন বন্ধ হবে না এবং কিচেনে কোনো ছাত্রী থাকবে না, হলে কোনো উপস্থিতি সিস্টেম চালু করা যাবে না, ডাইনিং চালু করতে হবে ছাত্রীদের কথা অনুযায়ী ডাইনিং চালাতে হবে ডাইনিংয়ের সামগ্রিক কাজ পর্যবেক্ষণ করবে শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন মালিক ১৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে এবং ৪৭তম আবর্তনকে অতিসত্বর সিটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তখন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান লিখিত আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।  

পরে ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হলের আসন নিশ্চিতের দাবিতে আবারও রাস্তায় অবস্থান নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সহপাঠীরা রুমে রুমে, আমরা কেন গণরুমে’, ‘আমাদের ঘুম নাই, প্রভোস্ট ঘুমায়’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।  

এসময় প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ, ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এসে ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত ছাত্রী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বাংলানিউজকে বলেন, একটা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমরা দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে গণরুমে থাকছি। প্রশাসন থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরেও কোনো সমাধান করতে পারেনি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আশ্বাসে আর বিশ্বাস করতে চাই না।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।