ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গমাতা ছিলেন একজন নীরব সংগঠক: বশেফমুবিপ্রবি ভিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
বঙ্গমাতা ছিলেন একজন নীরব সংগঠক: বশেফমুবিপ্রবি ভিসি

জামালপুর: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাঙালি জাতির সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গমাতার অবদান অনস্বীকার্য। আর সেটা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয় একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে। যিনি ধূপের মতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়সম আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বশেফমুবিপ্রবি প্রশাসন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন।  

তিনি বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু সহধর্মিণী হিসেবেই নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবেও আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী এই মহানায়কের অনুপ্রেরণাদায়িনী ছিলেন। কিন্তু ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সপরিবারে তাদের হত্যা করে। এটা জাতির জন্য খুবই লজ্জার।  

প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ ও মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বহুবার জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বঙ্গমাতা সব পরিস্থিতি সামাল দিতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একটার পর একটা মামলা দিচ্ছে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।  

র‌্যালিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  ‘এদিকে তাদের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার পর তাদের মিন্টু রোডের সরকারি বাড়িও ছাড়তে হয়। তখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিন-রাত বাড়ি খোঁজা আর মামলা-মোকদ্দমা চালানো, কোর্টে যাওয়া সব কাজ-ই অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে করতেন তিনি। এসব কথা বিভিন্ন সময় তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখেও শুনেছি। ’


বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শের কথা বলতে গিয়ে শিক্ষাবিদ ড. সামসুদ্দিন বলেন, নিজের বুদ্ধিমত্তা, শ্রম ও ধৈর্য দিয়ে এভাবেই শেখ ফজিলাতুন্নেছা হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির মমতাময়ী মাতা। মহিয়সী এই নারীর আদর্শ আর মননেই গড়ে উঠুক এদেশের নতুন প্রজন্মের নারীরা।

এর আগে সকালে কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে শহরের দেওয়ানপাড়ার  বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।  

উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন গ্রুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলায় গিয়ে শেষ হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ বাকী বিল্লাহ্, সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

এদিকে বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে  ১৫ আগস্টের সব শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯ 
এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।