ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পদত্যাগী সহকারী প্রক্টরের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
পদত্যাগী সহকারী প্রক্টরের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীরের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল টিম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রক্টরিয়াল টিম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায়।  

এতে বলা হয়েছে, জাতির জনকের এই পবিত্র জন্মভূমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বশেমুরবিপ্রবি’তে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজমান রয়েছে।

কমলমতি শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষক তাদের নিজেদের স্বার্থকে চরিতার্থ করার উদ্দেশে একে এক সহিংস রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। আমাদের প্রতি তাদের অভিমান, দাবি থাকতেই পারে। আমরাও চাই তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো প্রতিষ্ঠিত হোক। সেজন্য আমরা উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করছে। সরকারি যেখানে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে, সেখানে আপনার দেখে থাকবেন, কোটা আন্দোলনের গ্রুপসহ ফেসবুকে উপাচার্যের পদত্যাগের মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে।  

স্বনামধন্য একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে মো. হুমায়ুন কবীর (প্রভাষক, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি) আমাদের কমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উসকে দেবার জন্য অনবরত বিভিন্ন রকম মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। সেই অনলাইন সংস্করণে হুমায়ুন কবীর প্রশাসনের যে মিটিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের কোনো মিটিং বা সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে হয়নি। এছাড়া গত কয়েক মাস ধরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য হিসেবে তিনি মিটিংয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেটা উপাচার্যে মহোদয় পূরণ করেননি, তাই তিনি দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছুক। সেসব কথার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।

উল্লেখ্য, তিনি তার স্ত্রীর জন্য চাকরির আবেদন করেছিলেন এবং সেটি না হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেন। সেই সঙ্গে একটি প্রশ্ন করতে চাই, তিনি যেহেতু দাবি করেছেন, এমন মিটিংয়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং হামলার ব্যাপারে জানতেন, তাহলে তিনি কেন- পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে অবগত করলেন না? আমরা এমন মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।  

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীর বলেন, পদত্যাগ করার পর থেকে আমি ভিসি পন্থি শিক্ষকদের থ্রেডের মধ্যে আছি। কয়েকজন শিক্ষক আমাকে মোবাইল ফোন করে গালিগালাজ করেছেন। তাই নৈতিকভাবে আমাকে ছোট করার জন্য প্রক্টরিয়াল টিম এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। কারণ ওই টিমের সব সদস্যই ভিসি’র আর্শিবাদপুষ্ট শিক্ষক। আমি যা বলেছি তা শতভাগ সত্য।
 
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে বহিরাগতদের হামলায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার ও আন্দোলনের মুখে বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিরতিহীন অন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।