ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবির আইআর বিভাগের চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবির আইআর বিভাগের চেয়ারম্যান

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের (আইআর) চেয়ারম্যান খন্দকার মাহমুদ পারভেজ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে তিনি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইআর বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার মাহমুদ পারভেজ পদত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এরআগে, দুপুরে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তার চেয়ারম্যান ও শিক্ষকতা পদ থেকে অপসারণের দাবিতে রেজিস্ট্রারের কাছে অনাস্থাপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

>>>আরও পড়ুন...বশেমুরবিপ্রবি’র আইআর বিভাগের চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
 
অনাস্থাপত্রে শিক্ষার্থীরা জানান, অযোগ্যতার সত্ত্বেও খন্দকার মাহমুদ পারভেজ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন সেগুলোর একটিও তার নেই। তিনি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। পরে তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে আইআর বিভাগের চেয়ারম্যানও করা হয়।

প্রথম থেকেই তিনি ক্লাসে পাঠদানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাই তিনি যেসব কোর্স নিয়েছেন সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ ধারণা পাইনি। এছাড়াও তিনি প্রতিটি কোর্স ৭-৮টি ক্লাস নিয়েই শেষ করেছেন। এ বিষয়ে প্রথমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও তার চাচা সদ্য পদত্যাগী ভিসি প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দিনের ক্ষমতাবলে অভিযোগকারীদের বহিষ্কার ও একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করেন।

তিনি তৃতীয় ব্যাচের ৩৫ জন শিক্ষার্থীর অ্যাসাইনমেন্টে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া শূন্য নম্বর দেন। এছাড়া দ্বিতীয় ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শূন্য নম্বর দিলে তারা তাদের ভুল জানতে চাইলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দেন।

তিনি দরিদ্র তহবিল থেকে সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে চেকের পরিবর্তে ডকুমেন্ট ছাড়া নিজের ইচ্ছামতো টাকা দেওয়ায় তার স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক সাহায্যের জন্য তার দ্বারস্থ হলে তাদের টাকা না দিয়ে তিনি অপদস্থ করেছেন।  

ওই শিক্ষককে ক্লাসে পাঠদান বিষয়ক প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর না দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, ‘তুই এসে পড়, জানালা দিয়ে ফেলায় দেব, কান ধরে ভিসি সাহেবের কাছে নিয়ে যাবো এবং তিনি বহিষ্কার করবেন। ’ 

এছাড়া শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের অফিস সহকারীর মাধ্যমে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, যা ছাত্রীদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।