ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আন্দোলনরত শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
আন্দোলনরত শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ

ঢাকা: বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বুধবার (১৬ অক্টোবর) সব উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।
 
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।


 
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন বাড়ার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ পর্যায়ে কোনো ধরনের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অধিকন্তু সরকারি কর্মচারীরা এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
 
‘এ ধরনের কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে চিহ্নিত করে প্রতিদিন উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ’
 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। গত কয়েক দিন ধরে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা বর্তমানে ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম ও প্রশিক্ষণ বিহীন সহকারী শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হন।
 
গ্রেড আপগ্রেডেশনের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকেরা। এরমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রেড আপগ্রেডেশনের প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠালেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আপগ্রেডেশনের জন্য বেতন বৈষম্য দূর করতে গত ২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীতের প্রস্তাব করে পাঠানো হয়।
 
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৮ সেপ্টেম্বর তা নাকচ করে চিঠি পাঠায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেড করার সুযোগ নেই।
 
কিন্তু বেতন বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১২টি সংগঠন একত্রিত হয়ে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ গঠন করে এবং কর্মসূচি ঘোষণা করে।
 
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান জানান, দাবি আদায়ে ১৪ অক্টোবর এক ঘণ্টা কর্মবিরতি, ১৫ অক্টোবর দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস এবং ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়।
 
এছাড়া ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।