বিষয়টি স্বীকার করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন গাজী বাংলানিউজকে বলেন, পার্শ্ববর্তী গোহালা বালিকা বিদ্যালয়ের চেয়ে অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করতে এই কৌশল অবলম্বন করা হয়। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করায় বই বিতরণের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ নভেম্বর জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা টি.সি.এ.এল উচ্চ বিদ্যালয় বই উৎসবের আগেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। স্কুল এলাকার গোহালা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের মেয়ে তামিমা, রবিউল আলমের মেয়ে পরশী ও হেমায়েত হোসেনের মেয়ে ইভাসহ প্রায় ৩০ জন ছাত্রীর হাতে ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয় এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আলীর নির্দেশে বই বিতরণ বন্ধ ও বিতরণকৃত বই ফেরত নেওয়া হয়।
প্রতিবছর সারাদেশে পহেলা জানুয়ারি জাতীয়ভাবে বই উৎসব পালন করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এর আগে, কোথাও বই বিতরণ করা অন্যায় বলে জানান মুকসুদপুর এলাকার বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
মুকসুদপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন মোল্যা বাংলানিউজকে জানান, ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণের বিষয়টি আমি শুনেছি। ইউএনওর নির্দেশে স্কুল কর্তৃপক্ষ বইগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ইউএনওর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
ইউএনও তাসলিমা আলী বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর বই ফেরত নিতে বলা হয়েছে এবং তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এনটি