বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) লাইব্রেরির সামনে নতুন সময়সূচির বিজ্ঞপ্তি দেখে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে অবস্থান নেয় কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন তারা।
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী রোববার (৮ ডিসেম্বর) থেকে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে।
তবে, আগের সময়সূচিতে সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তা খোলা থাকতো। এছাড়া শুক্রবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টা এবং শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকতো।
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া সামনে বিভিন্ন বিভাগে চূড়ান্ত পরীক্ষাসহ প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লাইব্রেরিতে অবস্থানের সময় কমানোয় এসব বাধাগ্রস্ত হবে।
দাবির পক্ষে লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিপন গাইন বলেন, হলে সিট সংকটের কারণে আমরা লাইব্রেরিতে পড়তে আসি। সামনে বিভিন্ন বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাসহ বিসিএসের সার্কুলার দিয়েছে। কিন্তু লাইব্রেরিতে অবস্থানের সময় কমানোর মতো হঠকারি সিদ্ধান্ত আমাদের পড়াশোনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমরা চাই আবার আগের সূচি অনুযায়ী লাইব্রেরি খোলা থাকবে।
এই দাবিতে রোববার লাইব্রেরি খোলার পর আবারও সেখানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক হানিফ আলী বলেন, এখনো লাইব্রেরি খোলা হয়নি। রোববার লাইব্রেরি খোলা হলে শিক্ষার্থীদের এ দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এএটি