ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে প্রকল্পের টাকা ‘গরমিলের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
জাবিতে প্রকল্পের টাকা ‘গরমিলের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ জাবিতে প্রকল্পের টাকা ‘গরমিলের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলমান তিনটি ছাত্রীহলের নির্মাণকাজে অনিয়ম ও টাকা গরমিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মেয়েদের হল, পুরনো প্রশাসনিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান মেয়েদের তিনটি হলের কাজ থেকে ১৪ কোটি টাকা গায়েব হয়েছে। আসলেই সেই ১৪ কোটি টাকা গায়েব হয়েছে, নাকি সেলামি হিসেবে কারো পকেটে গিয়ে ঢুকেছে? আমরা বলতে চাই, বরাবরের মতো বিগত প্রতিটি চুরি, লুটপাট ও শিডিউল ছিনতাইসহ কয়েকটি ঘটনার যেমন বিচার হয়নি, তেমনি ১৪ কোটি টাকা গায়েবের ঘটনার বিচার না হলে জাহাঙ্গীরনগর আবার উত্তাল হয়ে উঠবে।  

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, তিনটি হলে প্রায় ১৪ কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। আমরা কতজন এ দুর্নীতির বিরোধিতা করছি তা বিষয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি দেওয়া হচ্ছে, এ ছুটিও তো শেষ হবে। আপনি (উপাচার্য) কান বন্ধ রাখলেও আপনার বিরুদ্ধে স্লোগান বাতাসে ভাসবে। আপনি একজন উপাচার্য বা অভিভাবক হিসেবে ব্যর্থ। তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান রেখে আপনি সাময়িকভাবে সরে যান। এ আন্দোলনের ফলাফল হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর মুক্ত হবে। তাই যতক্ষণ না আপনার অপসারণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত হচ্ছে, ততক্ষণ এ আন্দোলন জারি থাকবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গত বছরের ২৩ অক্টোবর ১৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী পরিষদ (একনেক)। এ প্রকল্পের অধীনে এক হাজার আসন বিশিষ্ট ছেলেদের তিনটি ও মেয়েদের তিনটি হলের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।  

এ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে মেয়েদের তিনটি হলের (১৭, ১৮ এবং ১৯ নম্বর হল) কাজ শুরু হয়েছে। তবে, হলগুলোর ফাউন্ডেশনে পাইলিংয়ের পরিবর্তে কম মূল্যের ম্যাটপদ্ধতি ব্যবহারসহ মহাপরিকল্পনার শিডিউলের সঙ্গে তিন জায়গায় অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ সসয়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।