ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঝাড়ুদারের টাকা ইবি কর্মকর্তার পকেটে, তদন্তে কমিটি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ঝাড়ুদারের টাকা ইবি কর্মকর্তার পকেটে, তদন্তে কমিটি

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এস্টেট দপ্তর নিয়ন্ত্রণাধীন দৈনিক মুজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা বেতনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মোস্তফা কামালকে আহবায়ক করা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন। কমিটির সদস্যদের দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বাদেও এস্টেট অফিসের অধীনে থোক (চুক্তিভিত্তিক চাকুরি) এবং দৈনিক মুজুরিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারীদের প্রতি মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেতন প্রদান করা হয়। গত নভেম্বর মাসে এস্টেট অফিসের অধীনে ১৩৭ জন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, বিভিন্ন দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করে। বিভিন্ন বেতনে চুক্তিভিত্তিক ১৩৭ জনের মধ্যে ১৩৩ জনের বিল করা হয়। তাদের মোট বিল হয় ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৬ টাকা।

কর্মচারীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসে দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে যে বেতন পাস করা হয় সেটা তাদের যথাযথ প্রদান করা হয় না। পাস হওয়া মোট বেতন থেকে কর্মচারীদের এক থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত কম দেওয়া হয়।

এ নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কর্মচারীরা বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করছেন কাজলী রাণী দাস, পুষ্প রাণী দাস, অরচোনা রাণী দাসসহ কয়েকজন কর্মচারী। তারা জানান, চুক্তিভিত্তিক মোট সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

পরে এস্টেট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাজলী রাণী দাস, পুষ্প রাণী দাস, অরচোনা রাণীসহ কয়েকজনের নভেম্বর মাসের তাদের পাস হওয়া বেতন নয় হাজার টাকা। দপ্তর থেকে নয় হাজার টাকা পাস হলেও তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। যেখানে তাদের সাড়ে তিন হাজার টাকা কম দেওয়া হয়েছে।

তাদের বেতন নয় হাজার টাকা পাস হয়েছে বিষয়টি জানানো হলে তারা বলেন, নয় হাজার টাকা পাস করা হলেও আমাদের সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি সাড়ে তিন হাজার টাকা কোথায় কী করা হয়েছে সেটা আমরা জানি না।

বিষয়টি নিয়ে এস্টেট অফিস প্রধান সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনসহ বিভিন্ন কিছু কাজে অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন হয়। এসব অতিরিক্ত জনবলের জন্য আলাদাভাবে কোনো বেতন প্রদান করা হয় না। যার ফলে তালিকাভুক্ত কর্মচারীদের বেতন থেকে কিছু টাকা কেটে রেখে তাদের প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত লোকবল নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।