ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ডাকসু ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ডাকসু ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

ঢাকা: ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার ছিনতাই মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরসহ ২৯ জনকে।

শাহবাগ থানায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র ডিএম সাব্বির হোসেন।

আরও পড়ুন>> ডাকসুতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভাঙচুর, ভিপি নুরকে মারধর

ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মো. শামীম জানান, ডাকসু ভিপি নুর বহিরাগতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যদের ওপর হামলা করেছেন এমন অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন >> ‘নুর ভালো আছে, চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই’

মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমানকে।

মামলায় আসামিরা হলেন-ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, এপিএম সুহেল (জবি), আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান, আবু হানিফ, আমিনুল ইসলাম,  তুহিন ফারাবী (ধানমন্ডি চাটার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত (জসীম উদ্‌দীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাজমুল হাসান, আয়াতুল্লাহ বেহেশতী, রবিউল হোসেন,  আরিফুর রহমান, সাইমুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, বিন ইয়ামিন মোল্লা,  তারিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হীল বাকী, আকরাম হোসেন, আসিফ খান, সানাউল্লাহ হক, আতাউল্লাহ, শাকিল মিয়া,  হাসানুল বান্না, রবীরুল ইসলাম, রাজ, আরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন।

পড়ুন>>এটি মিথ্যা মামলা: রাশেদ খান 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর আনুমানিক ১২ টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচি শেষে মিছিল সহকারে তারা মধুর ক্যান্টিনে আসলে ডাকসু ভিপির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে নুরসহ বাকিরা অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। সনজিত-সাদ্দাম উস্কানিমূলক স্লোগান কেন দিচ্ছে ভিপির নিকট জানতে গেলে পুনরায় উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে সনজিত-সাদ্দাম চলে যাওয়ার সময় উল্লিখিত আসামিরা হত্যার উদ্দেশে আঘাত করে। এতে বাদীসহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৮ জন আহত হয়। এসময় অনেকের মোবাইল, মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসকেবি/পিএম/এজে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।