তিনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবও আসন্ন।
বশেফমুবিপ্রবির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মেলান্দহে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্যা ড. সামসুদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা চলতে পারে সেভাবেই তাদের গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব½মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সারিতে থাকবে। সেভাবেই নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, প্রথম বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম নিঃসন্দেহে অভাবনীয় সাফল্যের ইঙ্গিত করে। ভবিষ্যতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে- আমরা এই প্রত্যাশা করি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সবকার, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন, বশেফমুবিপ্রবির রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।
এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ বাজার হয়ে মালঞ্চ বাজার প্রদক্ষিণ করে ফের ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানমালায় সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমএ