বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে আট উপজেলার স্কুলে স্কুলে শুরু হয় বই উৎসব। জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১৬শ’ বিদ্যালয়ের প্রায় নয় লাখ শিক্ষার্থী নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে।
বুধবার সকালে রামুর নব প্রতিষ্ঠিত রামু ল্যাবরেটরি স্কুল, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুলে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের অন্য রকম বই উৎসব। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই, তা নিয়েই উল্লসিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা সুলতানার যেন খুশির সীমা নেই। তানজিলা বলে, নতুন বই হাতে পেলে ভীষণ খুশি লাগে, আজও লাগছে।
রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা বড়ুয়া বলে, নতুন কিছু পেলে সব সময় ভালো লাগে। তাই নতুন বই পেয়েও অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে। ঘরে গিয়েই বইয়ে নতুন মলাট লাগাবো।
এদিকে বুধবার সকালে বই উৎসব উপলক্ষে সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকায় প্রস্তাবিত শিশুপার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু সমাবেশ ও বই বিতরণ উৎসব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু সমাবেশে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।
এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বই উৎসবে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৬০ লাখ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থীর জন্য ১৫ লাখ ৮ হাজার ২২৪টি বই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসবি/এফএম