মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অকৃতকার্য হয়েও ভর্তির সুযোগ পাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মোছা. নার্গিস খাতুন।
বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক একে শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর একাডেমিক বিষয়টি খেয়াল করি নি। তিনি অনুর্ধ্ব ১৯ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছে। তিনি ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম নিয়ে আসবেন। তাই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ক্রীড়াঙ্গনের সুনামের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। সেখানে খেলোয়াড়দের জন্য ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ রয়েছে, তবে ব্যবসায় অনুষদে ভর্তি কেন এমন প্রশ্নে অধ্যাপক শামসুদ্দোহা বলেন, শিক্ষার্থীর পছন্দেরও বিষয় রয়েছে। এছাড়া ক্রীড়া বিজ্ঞান ‘সি’ ইউনিটভুক্ত। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ‘বি’ ইউনিটে।
বিশেষ অনুমতিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত তালিকায় আরও দুই শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশিকুর রহমান আশিক নামে এক শিক্ষার্থীকে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৪১.৫ নম্বর পেয়ে কৃতকার্য হয়েছেন। তার মেধাক্রম ছিল ৩৮৮৩। তিনি বিভাগ পছন্দ ফরম পূরণের জন্য যোগ্য ছিলেন না।
এছাড়া রিন্টু তনচঙ্গা নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৪৯ নম্বর পেয়ে মেধাক্রম অনুসারে ২৪১৯তম হয়েছিলেন। তিনিও সাবজেক্ট চয়েসের জন্য যোগ্য ছিলেন না।
এই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শামসুদ্দোহা বলেন, রিন্টু একজন উপজাতি। তিনি পরীক্ষায় ভাল করেছে, মেধাক্রমও ভাল। কিন্তু আবেদনের সময় ভুলবশত উপজাতি কোটার ঘরটি পূরণ করতে পারে নি। তাই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আশিকুর রহমানের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কয়েকবার প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন, কি কারণে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটি আমরা মনে নাই।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫৬০ আসনের বিপরীতে ১৫ হাজার ৭৩২ শিক্ষার্থী আবেদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এনটি