সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ঢামেকে এসে ওই শিক্ষার্থীকে দেখে খুবই মর্মাহত হন উপাচার্য।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত, চরম দুঃখজনক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এটি।
‘প্রথমে তাকে মানসিকভাবে সামর্থ্য করে তুলতে হবে। তার কাছে আমরা ভিড় করবো না। পুলিশ তৎপর রয়েছে, তাদের অনুরোধ করেছি নরপিশাচকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য। এখন মূলত প্রধান কাজ হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়া। পাশাপাশি নরপিচাশকে শনাক্ত করা, তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। ’
আরও পড়ুন>>>>ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকেই পরিবারের কাছ থেকে মামলা নিয়েছে। তার বাবা বাদী হয়েছেন। ঢাবি সব ধরনের সহায়তা দেবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, গতরাত থেকে মেয়েটি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। তার সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। মেন্টাল ট্রমা ছাড়াও শারীরিক কিছু আঘাত রয়েছে। পাশাপাশি কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। আমাদেরও কিছু ফাইন্ডিং রয়েছে। স্পেশালিস্টরা সব চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ অবস্থায় তার সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা তার জন্য অস্বস্তিকর। কেউ যেন আমরা তার কাছে না যাই।
ধর্ষণের আলমতের বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি ফরেনসিক বিভাগ দেখছে। পাশাপাশি নাক-কান-গলা বিভাগ ও তার যেহেতু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে সেজন্য রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগসহ আরও কিছু বিভাগের ডাক্তারদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি শিগগিরই এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এজেডেএস/এএ