মহিলা কলেজে ভর্তির তালিকায় নাম আসা ছয় ছেলে শিক্ষার্থীর দাবি, তারা যথাযথ নিয়ম মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফরম পূরণ করেছিলেন।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য গত ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সময় বেঁধে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, ভর্তির চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরে তারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে লজ্জা পেয়ে চলে যান।
ওই ছয় জনের মধ্যে এক শিক্ষার্থী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ত্রুটির কারণে আমরা এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ, অনলাইনে আবেদনের সময় মহিলা কলেজের নামে ক্লিক করার পর আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে ওই ধরনের ব্যবস্থা থাকলে আমাদের আবেদন গ্রহণ হতো না। ফলে আমরা হয়তো অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারতাম। ওই ছয় শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার রিলিজের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এস এম জাকির হোসাইন জানান, ওই ছয় ছেলে শিক্ষার্থীর কোনোভাবেই মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি তারা এবার অন্য কলেজেও ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে ভর্তির জন্য আগামী বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের মাস্টার্স শ্রেণির ভর্তির নিবন্ধন কমিটির সচিব সহযোগী অধ্যাপক আলী জাফর চৌধুরী জানান, ওই ছয় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদনে ভুল করেছেন। তারা মহিলা কলেজ চয়েস দিয়েছেন। হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। এখনো দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত না হলে ওই ছয় শিক্ষার্থীকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএইচ