মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নেতাজি ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাজি জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জনগণকে বলেছিলেন তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো। যেমনটি জাতির পিতা বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। নেতাজি এমন একজন মানুষ যিনি ব্রিটিশ সরকারের বড় বড় পদে থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১১ থেকে ১২ বার জেলে যেতে হয়েছে। এরপর ভারতবর্ষের লোকেরা তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপরও তিনি দমে যাননি। প্রবাসে থেকেই তিনি সশস্ত্র দল গঠন করেন। পরবর্তীকালে দেশের জন্য যুদ্ধ করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এভাবে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন কিন্তু পার্থক্য হলো বঙ্গবন্ধু দেশের সব ধরনের মানুষকে একত্র করতে পেরেছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে যেই দেশপ্রেম ছিল, তা যদি আমরা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ২০৪১ সালের প্রয়োজন হবে না। তার আগেই আমরা তা গঠন করতে সক্ষম হব।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আমি যখন রাজনীতি শুরু করি তখন নেতাজির জীবন বৈচিত্র্য আমাকে দারুণভাবে উদ্বেলিত করে। তার মতো নেতা সর্বকালে বিরল। তার জন্মদিনে আমরা তাকে স্মরণ করছি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় আনন্দের। আমরা এমন সময় আছি যখন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। দুই নেতার জন্মোৎসব একসঙ্গে পালনের মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গঠনে একধাপ এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও সুভাষচন্দ্র বসুর মতো নেতাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে। সেটা হলো, কীভাবে জনগণের উপকার করা যায়। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায়। সে লক্ষ্যে তারা দু’জন নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
সেমিনারে নির্বাচিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন দৈনিক জাগরণ সম্পাদক আবেদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এমরান জাহান, কলকাতার আলিপুর বার্তার সম্পাদক ড. জয়ন্ত চৌধুরী, ভারতীয় সংগঠন ফোরাম ফর ইউনিটি অ্যান্ড ন্যাশনালিজমের মুখপাত্র এবং লেখক ও ক্রীড়াবিদ সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী, নেতাজি গবেষক ও ভিশন২৪ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী অজয় চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন নেতাজি জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বহুমাত্রিক ডটকম এর প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসকেবি/এফএম