ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে নিতে হবে: ড. সাজ্জাদ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে নিতে হবে: ড. সাজ্জাদ 

ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞান সৃষ্টির পাশাপাশি সম্পদও সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের মানসম্পন্ন গবেষণা বাড়াতে হবে। মানসম্মত উচ্চশিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে জায়গা পেতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ক্যাম্পাসে ‘মুজিববর্ষ আইটি কার্নিভাল-২০২০’র সমাপণী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। ডিআইইউ-এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী এ কানির্ভালের আয়োজন করা হয়েছে।

 

অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা একটা সু-সময়ে অবস্থান করছি। এই সময়ে পৃথিবী সর্বত্র কানেক্টেড। আমেরিকার এমআইটি-তে কী হচ্ছে কিংবা বরিশালের গ্রামে কি হচ্ছে আমরা তা ঘরে বসেই এখন জানতে পারছি। কিন্তু আমাদের সময়ে তা ছিল না। এখানকার শিক্ষার্থীরা প্রচুর রিসোর্স পাচ্ছে, যা কাজে লাগিয়ে নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করতে হবে।  

ইউজিসি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চশিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই প্রথম বিজয় দিবসে ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে তাগিদ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও বলছেন, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার কথা।  

‘নলেজ ইজ পাওয়ার-একটা কথা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নলেজ ক্রিয়েটের (জ্ঞান সৃষ্টি) পাশাপাশি সেই জ্ঞানকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। লোকাল প্রবলেম সলভ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার চিত্র তুলে ধরে ইউজিসি সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গবেষণায় আমাদের প্রচুর বরাদ্দ আছে। সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রেও বরাদ্দ পাওয়া যায়। আসলে গবেষণায় আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

প্রধান অতিথি ড. সাজ্জাদ হোসেনসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।  মুজিববর্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পেয়েছি, এটা আমাদের ভাগ্য। আমি মনে করি তিনি কিংস অব দ্য কিং, লিডারস অব দ্য লিডার। সারা পৃথিবীতে তার সমকক্ষ নেতা পাওয়া দুস্কর, তার ৭ মার্চের ভাষণের মতো ভাষণ পাওয়া যাবে না। উনার স্টাইল, এথিক্স, ফিলোসফি-যদি দেখেন তা খুবই উচুমানের।  

‘আমরা যদি তার ফিলোসফি বা আদর্শ এই মুজিববর্ষে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি তাহলে আসলেই আমাদের দেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। উনার কথাই সত্য হবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাকে ধরে রাখতে পারিনি। তবে আরেকটি সম্পদ রয়েছে। তিনি তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ’

ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়েছি বলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ-ই তার মতো পরিশ্রম করি না। আমাদের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে, রিসার্চের জন্য যথেষ্ঠ ফান্ড আছে। আমাদের আইসিটিতে স্টার্টআপ কোম্পানি আছে। ইনোভেশনের জন্য কাজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হচ্ছে। কিন্তু সেভাবে কেউ-ই কাজ করছে না।  

‘আপনারা কাজ করুন। আইডিয়া দেন। শিক্ষা-গবেষণায় একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে নিয়ে যান। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক। সরকারের প্রতিটি বডি সহযোগিতা করবে। আমাদের আটকোটি তরুণ রয়েছে। তাদের কোথায় কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই ভাবতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।  

কার্নিভালে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ।

এছাড়াও আলোচনা করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।