বোর্ডের অধীনে এ বছর ১৪৬ কেন্দ্রে ৯১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৭০ পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৫৩ ছাত্র এবং ৬৬ হাজার ৪১৭ ছাত্রী রয়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কেন্দ্র বেড়েছে ১৫টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৬টি এবং পরিক্ষার্থী বেড়েছে ২ হাজার ৮৯৮ জন। আগের বছর এসএসসিতে পরিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭২ জন।
প্রশ্নপত্রফাঁস রোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবত এসএসসিতে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এবারো পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সাতটি ভিজিল্যান্স টিম করা হয়েছে। শিক্ষকদের নিয়ে করা হয়েছে আরো ৩০টি টিম। এছাড়া, কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্রের দু’টি সেট যাবে এবং ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে কোন সেটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
বোর্ড সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রদের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে ছাত্রীদের সংখ্যাও।
সিলেট বোর্ডের অধীনে ২০১৮ সালে ৬১ হাজার ২৯৩ ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০১৯ সালে অংশ নেয় ৪৯ হাজার ১৯৩ ছাত্র ও ৬৪ হাজার ২৭৯ ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭৬০ জন বেড়ে ৪৯ হাজার ৯৫৩ ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার ছাত্রী রয়েছে ৬৬ হাজার ৪১৭ জন। এ বছর পরীক্ষায় ছাত্রীসংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ১৩৮ জন।
কবির আহমদ বলেন, ৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারো পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ মোবাইল ফোন নিতে পারবে না।
‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। তাছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় ও শিক্ষক, অভিভাবক অথবা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। ’
তিনি বলেন, সোমবার বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এনইউ/এফএম