বেতন বৈষম্য দূর করতে এসব শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আদেশ জারি করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হলেও প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা এতদিন ১৪তম এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন। আর এখন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় শিক্ষদের বেতন ১৩তম গ্রেডে হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর তফসিল [বিধি (২) গ অনুযায়ী এদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হয়েছে।
এই তফসিল অনুযায়ী, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। আর ৩৫ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ করা হবে। এই ৬৫ শতাংশ পদে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে। সহকারী শিক্ষক পদে ৭ বছরের অভিজ্ঞরা পদোন্নতির যোগ্য হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকদের সব পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি) হতে হবে।
এরআগে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে সরকার। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএ