বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মুহসিন উদ্দীন সাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ইস্যুক্লার্ক হিসেবে নিয়োজিত মো. বনী আমিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকা থেকে এক নারীকে অপহরণ করায় মামলার আসামিভুক্ত হয়েছেন বলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে জানা গেছে।
এছাড়া, ওই নারী অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধ বিষয়ে মো. বনী আমিনকে নিয়ে একাধিক পত্রিকায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেহেতু এটি গুরুতর অপরাধ এবং এর সপক্ষে বলিষ্ঠ প্রাথমিক তথ্য রয়েছে, সেহেতু এ অসদাচরণের দায়ে বনী আমিনকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ইস্যুক্লার্কের পদ থেকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন।
পাশাপাশি এ অফিস আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার জন্যও বলা হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুক্লার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণিরর কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বনি আমিন। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগীর মা বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযানে নেমে অপহৃতকে উদ্ধার করলেও বনি আমিন পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়ার পর ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ তোলায় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পরপরই বনি আমিনকে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমএস/এফএম