ঢাকা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাশের হার ৮২ দশমিক ৬৭ এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭১ । জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৫২ জন।
বুধবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল তুলে দেন।
সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা।
বেলা তিনটায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মুঠোফোনে খুদে বার্তা ও ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল আজ বিকাল সাড়ে চারটায় দেশের শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-মেইল এবং খুদে বার্তার মাধ্যমে একযোগে প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বোর্ড থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের ফল পৌছে দেয়া হবে। ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য ওয়েবসাইটের (www.educationboardresults.gov.bd) ওয়েব মেইল ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের EHN-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করতে হবে। ফল ডাউনলোড করার পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এ বছর অষ্টম শ্রেণীর ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ পরীক্ষার্থী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৮ হাজার ৪৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ ও জেডিসিতে ৯ হাজার ১১৭টি মাদ্রাসার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
সারাদেশে দুই হাজার নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে জুনিয়র স্কলারশিপ বৃত্তি প্রদান করা হবে।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ে এবার সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলিয়ে একত্রে ৩৩ পেলেই পাস ধরা হয়েছে। এসএসসির মতো দুটি অংশে আলাদা করে পাসের প্রয়োজন হয়নি।
গতবারের মতো এবারো পরীক্ষায় তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যরা নবম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। তবে তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য বিষয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে। ১৩ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শেষ হয় ২১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময় ২৮ ডিসেম্বর ২০১১