রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘২০১৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকার’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছি।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেও একটি মহল নিয়োগে নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত করতে হাইকোর্টে রিট করেছে। তারা মেধায় নিয়োগে টিকতে পারিনি। তাদের কারণে আমরা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। এভাবে নিয়োগ বিলম্বের পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
যোগদান বঞ্চিত শিক্ষক ও আন্দোলনের মুখপাত্র কবির আহম্মেদ বলেন, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ লাখ প্রার্থীর মধ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে আমরা ১৮ হাজার ১৪৭জন উত্তীর্ণ হই। গত ১৩ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আমাদের ১৮ হাজার ১৪৭ জনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ৬১ জেলার প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিয়োগপত্র ডাকযোগে পেতে থাকি। এমনকি ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে যোগদানপত্রের স্মারক নম্বরও পেয়ে যাই। কিন্তু আমরা হঠাৎ জানতে পারি ৪৩টি জেলার যোগদান স্থগিত হয়েছে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে। এমন অবস্থায় আমরা আগের চাকরি হারিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে বেকার অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছি।
তিনি আরও বলেন, চাকরিতে যোগদান করতে না পারায় আমরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। মুজিববর্ষের কাউন্ট ডাউন শেষ হওয়ার আগেই আমাদের ৪৩ জেলার ১৮ হাজার ১৪৭ জনের পরিবারে বড় পুরস্কার হিসেবে চাকরিতে যোগদান নিশ্চিত করুন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যোগদান বঞ্চিত শিক্ষক ইমরুল হাসান, মোশাররফ হোসাইন, আবুল মমিন সরকার ও ইশতিয়াক বাপ্পীসহ ৪৩ জেলায় নিয়োপ্রাপ্ত কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
ইএআর/এএটি