রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বশেফমুবিপ্রবি-তে সদ্য আত্তীকরণ হওয়া ফিশারিজ অনুষদের (ফিশারিজ কলেজ) শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। মেলান্দহের মালঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য ড. সামসুদ্দিন বলেন, তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আজ দিনটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, মেলান্দহবাসীর জন্যও আনন্দের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আত্তীকরণ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এখানকার সবাই ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবেন।
‘তোমরা সবাই বঙ্গমাতা শেফ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তোমরা যেহেতু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকের শিক্ষার্থী, তাই বশেফমুবিপ্রবির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তোমরাই সৃষ্টি করবে। যা পরবর্তীতে তোমাদের জুনিয়ররা অনুসরণ করবে। তাই এমন কিছু করবে যা নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারে। ’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ ভরে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
শিক্ষাবিদ ড. সামসুদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর পেছনে ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা; যার সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে।
‘তোমাদের দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কারণ যে জাতি তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, সে জাতির অগ্রযাত্রা গভীরভাবে ব্যাহত হয়। ’
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামুসদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভঅপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিশারিজ অনুষদে ভর্তি হওয়া ২০৪ জন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বশেফমুবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এমএ/