মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সুপারিশ উত্থাপন হওয়ার কথা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের দু’টি স্থায়ী শূন্য প্রভাষক পদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
আবেদনকারীদের মধ্যে গত সিলেকশন বোর্ডের সভায় মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ জন। তাদের থেকে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে সিলেকশন বোর্ড। অভিযোগ উঠেছে, যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের নিয়োগের সুপারিশ করেছে বোর্ড।
নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃতরা হলেন— মো. রাফিউল ইসলাম রাঙ্গা, এসএম তানজিল শাহ ও মো. আবু সায়েম খান। তাদের কারোরই কোনো গবেষণা প্রকাশনা নেই।
যদিও সিলেকশন বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী পাঁচজন চাকরিপ্রার্থী। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে পিএইচডি করা ড. মোরশেদা মাহবুব (প্রকাশনা সংখ্যা ৪), যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শুভ্র প্রকাশ নন্দী (প্রকাশনা সংখ্যা ৯), ডেনমার্কের কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ড. জিনাত জেরিন হোসাইন (প্রকাশনা সংখ্যা ৬) ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (প্রকাশনা সংখ্যা ৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শারমিন জামান ইমন (প্রকাশনা সংখ্যা ১৩)।
অপরদিকে রিসার্চ পাবলিকেশন থাকা সত্ত্বেও অনার্স-মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হওয়া এক প্রার্থীকেও নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেনি সিলেকশন বোর্ড। এই বাদপড়া প্রার্থী হলেন- নাদিরা নাজনীন রাখি। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৬ জনের মধ্যে তিনিই একমাত্র ডাবল ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হওয়া প্রার্থী। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার দু’টি প্রকাশনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমানকে ফোন করা হলেও কলটি রিসিভ করেননি। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্য থেকে এই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এটি গোপনীয় বিষয়।
সিন্ডিকেট সভার আগে এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদও কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এসকেবি/এএ