বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করে।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন- মোবাশশির উল্লাহ, সোহাগ, নিশি খাতুন, আবিদ হাসান ও তপশ্রী শারনাল, আয়নাল, সাগর সরকার, লিজা আক্তার, সুলেখা আক্তার এবং আরিফ। এদের মধ্যে তিনজন রাতে এবং বাকিরা সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
অনশনরত পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জিমরান সাকিব বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দিনের অনশন চলছে। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা আগের মতোই কেবল আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। বিভাগ পরিবর্তনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে অনশন স্থগিত করার আহ্বান জানালেও শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে তাদের দাবি বিবেচনা করছে। এ নিয়ে আমরা কয়েকবার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলেছি। উপাচার্য এখন ঢাকায় আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে এলেই আমরা আলোচনায় বসবো। উপাচার্য আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা শোনেনি।
প্রসঙ্গত, পিএসসি’তে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এনটি