ঢাকা: দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাশের হার ৮৩ দশমিক ৭১। এ পরীক্ষায় অকৃতকার্যের হার ১৬ দশমিক ২৯।
অষ্টম শ্রেণী থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা থাকলেও অংশ নেয় ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যেই ঝরে যায় ৬২ হাজার ৯১৮ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয় ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩ জন।
এভাবেই ঝরে পড়ে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী।
এবারের জেএসসি পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৫ জন। কিন্তু সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি এ সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৯৫ জন।
সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশের ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ জন। এর ফলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে না ২ লাখ ৯ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী। স্কুলগুলোতে ঝরে পড়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৬০ জন শিক্ষার্থী।
আবার মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৩ লাখ ২৪ হাজার ২২৫ জন শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেয় ৩ লাখ লাখ ৯ হাজার ৯০২ জন। ঝরে পড়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা বোর্ডে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৩ জন। মাদ্রাসায় ঝরে পড়ে ৪৯ হাজার ৩২২ জন শিক্ষার্থী।
এবারের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশী খারাপ করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে মাত্র ৭২ দশমিক ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা থাকলেও অংশ নেয় ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬০ জন।
এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯০ হাজার ২৭৫ জন। ঝড়ে পড়ে ৩৭ হাজার ৭৮৩ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর ২০১১